শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

বাংলাভাষা ও ইংরেজি



বাংলাভাষা ও ইংরেজি


অহনলিপি-বাংলা১৪  ফন্ট AhanLipi-Bangla14 font  
ডাউনলোড করে নিজেকে আধুনিক করে তুলুন৤  

অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্ট হল-- 
(১)সেকেন্ড জেনারেশন ফন্ট
(২)স্মার্ট ফন্ট
(৩)বর্ণসমবায় ফন্ট
(৪)আলটিমেন্ট ফন্ট
এবং
(৫)বাংলা ফন্ট টেকনোলজির ফলিত প্রয়োগ৤








লেখাটি অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্টে পড়তে হবে, নচেৎ লেখাটি দুষ্পাঠ্য হবে৤  


বিনামূল্যে ফন্ট ডাউনলোড লিংক--


গুগুল লিংক https://sites.google.com/site/ahanlipi/  

অথবা  ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:






সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে৤

অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং

এবং


অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options--contents
              Fonts and Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -- OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -- OK
 -- OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤






বাংলাভাষা ও ইংরেজি

২৭/০৭/২০১৬ বুধবার৤



বাংলাভাষা ও ইংরেজি

মনোজকুমার দ. গিরিশ



          বাংলা ভাষায় বই বাঁধাই হয়, আর ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্য চাই ইংরেজি৤ বাংলা ভাষা সম্পর্কে আমাদের বোধ, এই চেতনাতেই আটকে আছে, তাই বাংলা ভাষা এগোচ্ছে না, এগোতে পারছে না৤ দরবারে গেলে বোঝা যাবে আমি কোথায় আছি, গাছের তলায়, নাকি গাছের মগডালে৤ অন্তত নিজের অবস্থান বোঝার জন্যও প্রতিযোগিতায় নামতে হবে৤

          ও গাঁয়ের পাঁচি অলিম্পিকে যাবে, বা ঘোতন ম্যারাথন দৌড়োবে এটা ভাবতে আমাদের হৃদকম্প হয়, এসব দুষ্প্রাপ্য জিনিসে হাত দিয়ে আমরা হাত পোড়াতে রাজি নই, অর্থাৎ উপহাসের শিকার হতে রাজি নই৤ দৌড় প্রতিযোগিতায় যেমন সেই উপহাস ‘কীরে সবাইকে তাড়িয়ে নিয়ে গেলি?’

মনে রাখতে হবে যারা এ পরিহাস করছে, তারা কখনও প্রতিযোগিতায় নামেনি৤ তারা যে পারবে না, সেটা তাদের নিজেদের চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না! জুবুথুবু হয়ে বাংলা ভাষাও তাই বিশ্বদরবারের এক কোণে পড়ে আছে৤ সকলেই প্রথম তথা-- ফার্স্ট হবে কেমন করে? তাহলে তো প্রতিযোগিতাই হয় না, অনেকের মধ্যে একজনই ফার্স্ট হয়৤ বাকিরা একজনকে ফার্স্ট হতে দেবার জন্য লড়ে৤ পরাজয়ে লাজ নেই, জয়েই হয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা৤ সে শিরোপা আমার মাথাতেও কাল উঠতে পারে৤ ভয়ে সিঁটিয়ে থাকলে জয় আসবে কেমন করে?

          ব্রাত্য রবীন্দ্রনাথ(যিনি নিজের পরিবারেই একপ্রকার ব্রাত্য ছিলেন! তাঁর পরিবার তো সমাজে ব্রাত্য ছিলই) সাহস করে বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে চেয়ে তার সুফল পেয়েছেন৤ ফর্সাদের ব্যাপার বড় বড়, সেখানে হাত দেবার আমাদের সাহস নেই৤ আমরাই যে মনে মনে বর্ণবৈষম্য, বর্ণ ভেদের এক প্রকার পৃষ্ঠপোষণ করছি তা বুঝে উঠতে পারি না৤ যতদিন না ফর্সাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠব, ততোদিন এক কোণে ভাদ্রবৌ হয়ে থাকা ছাড়া আমাদের আর গতি নেই৤
          জয়ের জন্য দৌড়োতে হলে হারতে হবে এটা ধরে নিয়েই দৌড়োতে হবে৤ দশের-একজন হলে ভালোই, নাহলে গ্লানির কিছু নেই৤ বাকি ন-জনার মধ্যে আছি৤ চাই প্রতিযোগিতা করার সাহস৤ জয়ের মঞ্চে একজনই উঠবে, বাকি সবাই দেখবে৤ যারা দেখবে, তারাই জয়ীকে জয়ের মঞ্চে তুলতে সাহায্য করেছে, তারা লড়াই না করলে জয়ীর জয় লাভ হত না৤ ফাঁকা মাঠে একা দৌড়োনো যায় না৤ সেটাতে জয়ের মঞ্চলাভ হয় না৤ সেটাতে হতে পারে অনুশীলন-- প্র্যাক্‌টিস৤ জয়ের জন্য চাই সাথী প্রতিযোগী৤ তাই লড়াই করে হারলে মান যায় না, বরং লড়াই না করলে কখনও জয়মঞ্চের মান পাওয়া যায় না৤
          ইংরেজি ভাষা উন্নত ভাষা৤ কিন্তু তা চিরকাল উন্নত ছিল না৤ একদিন সে ছিল গেঁয়ো ভাষা৤ বহু বহু প্রয়াসে তার বিকাশ এবং উন্নতি হয়েছে৤ আর সেই উন্নতিতে তথা প্রসার প্রচারে জোরালো মদত দিয়েছে তাদের সাম্রাজ্যবাদ৤ জয়ীর ভাষা শ্রেষ্ঠ ভাষা৤ এটা চিরকালই সত্য৤ তাই জয়ী এবং উদ্যোগী ইংরেজ প্রথমে বাংলা শিখল৤ আর শেখার জন্য ইংরেজিতেই লিখল ‘বাংলা’ ব্যাকরণ৤ তৈরি করল প্রথম বাংলা বিচল হরফ(moveable type)৤ বিকাশ ঘটাল বাংলা গদ্য সাহিত্যের৤ সেই ইংরেজদের ভাষাই পরে বাংলাভাষীরা শিখল জীবিকার সুযোগ লাভের জন্য৤ তারওপরে ইংরেজি শিখল প্রতিপত্তি ও ক্ষমতা লাভের হাতিয়ার হিসেবে৤ আজ বাংলাভাষীরাই বরং ইংরেজির বিশাল পৃষ্ঠপোষক এবং প্রচারক, প্রসারক৤
          সুতরাং যথার্থ ভাবনা, ও চেতনা আমাদের বিকাশের পথ৤ ইংরেজের মতো উদ্যোগ, বিশ্বজয়ের মতো উদ্যম থাকতে হবে৤ সেটা এদেশে এই নরম জলহাওয়ার দেশে কতটা কী হবে তা বিবেচনা করে দেখতে হবে৤ যদিও এযুগে বিশ্বজয় সৈন্যবাহিনি দিয়ে হবে না, হবে টেকনোলজি দিয়ে৤ বাঙালির যা মেধা তা টেকনোলজিতে পারঙ্গম৤ তাই জয়ের সম্ভাবনা তো তৈরিই আছে, কেবল লেগে পড়া৤ বিশ্বে টেকনোলজির জগতে বাঙালির দাপট আছেই, তাকে সংহত করতে হবে৤ সেটা করতে পারলে ‘আমাদের ভয় কাহারে'৤
     উদ্যোগই একদিন সাজাবে মোদের জয় বাহারে৤



https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSs5lKk7xrKwYiHZ7dM-xXaWkeBLd5XTupA5LMD6QfnWQQB5EOiAkro47m8L_mgqT5iWvVY0PbmeRxdZsTmhtVdInT2ZPb5N9RFdJiqDAQ9m7nWAUeTA0dIc1t1OFjFFuJ_jiSWC7Qd0s/s1600/R-Bangla-2.jpg 







         

         
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন