বাংলা
লেখা পড়া সহজ হল
অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্ট AhanLipi-Bangla14 font
ডাউনলোড করে নিজেকে আধুনিক করে তুলুন
ডাউনলোড করে নিজেকে আধুনিক করে তুলুন
অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্ট হল--
(১)সেকেন্ড জেনারেশন ফন্ট
(২)স্মার্ট ফন্ট
(৩)বর্ণসমবায় ফন্ট
(৪)আলটিমেন্ট ফন্ট
এবং
(৫)বাংলা ফন্ট টেকনোলজির ফলিত প্রয়োগ
(২)স্মার্ট ফন্ট
(৩)বর্ণসমবায় ফন্ট
(৪)আলটিমেন্ট ফন্ট
এবং
(৫)বাংলা ফন্ট টেকনোলজির ফলিত প্রয়োগ
লেখাটি
অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্টে পড়তে হবে, নচেৎ লেখাটি দুষ্পাঠ্য হবে
বিনামূল্যে ফন্ট ডাউনলোড লিংক--
গুগুল লিংক https://sites.google.com/site/ahanlipi/
অথবা ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:
সঙ্গে
দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
এবং
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet
setting)
(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)
on
internet(Mozilla Firefox)
(top
left) Tools
Options--contents
Fonts and Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for:
=Bengali
Proportional
= Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans
Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
-- OK
Languages
Choose your preferred Language for
displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
-- OK
-- OK
এবারে
ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে
বাংলা
লেখা পড়া সহজ হল
মনোজকুমার দ. গিরিশ
একটি
বাঙালি ছেলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে ইংরেজিটা সে
চটপট শিখে নিয়েছে, কিন্তু “ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন!” বলে তার শংকার শিহরণ বেশ ভাববার
বিষয় ইংরেজি তার মাতৃভাষা নয়, তবু তার কাছে ইংরেজিটা সহজ, আর মাতৃভাষা বাংলাটা
খুব কঠিন এটাই তার স্বাভাবিক অভিব্যক্তি
কিন্তু
বাংলাটা কেন কঠিন? কোথায় তার কাঠিন্য? সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা দরকার বাংলা
যাতে ইংরেজির মতো সহজ হয়, সে উদ্যোগ নিতে হবে নয়তো চিরকালই বাংলাভাষী শিশুরা বলবে--
ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন! ইংরেজি কিন্তু তার বা তাদের কাছে কঠিন নয়
বাংলাভাষাটা কিন্তু আসলে কঠিন নয়, কঠিন তার জটিল
লিখন পদ্ধতি সেটা সরল করতে হবে
প্রথমে
দেখা যাক হরফ বিচার করে ইংরেজিতে হরফ বা বর্ণ ২৬টি, বাংলায় আছে তার ঠিক দ্বিগুণ বাংলা
বর্ণমালা মনে রাখা একটু কঠিন বইকী তবে এটা ভয়ে শিহরিত হবার মতো ব্যাপার নয় এতগুলো
বর্ণ মনে রাখা একটু কঠিন হলেও তা দুর্ভেদ্য নয় বাংলায় আছে ১১টি স্বরবর্ণ, আর ৩৯টি
ব্যঞ্জনবর্ণ বিদ্যাসাগরের আমলে এটাই ছিল ৫২(১২+৪০)টি, অর্থাৎ ইংরেজির ঠিক
দ্বিগুণ
তা
হলেও তা “ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন!” বলার মতো ব্যাপার নয় ব্যাপারটা অন্যত্র তা হল
ইংরেজি শব্দ যখন লেখা হয়, তখন সকল বর্ণই পাশাপাশি বসিয়ে লেখা হয়, এর কোনও
ব্যতিক্রম নেই আর বাংলা লিখতে বর্ণ পাশাপাশি বসিয়ে অল্প কয়েকটি শব্দ লেখা যায়
বটে, কিন্তু তা খুব বেশি নয় যেমন-- অত, অতল, অবতল, অনবরত, দহরমমহরম
বাংলায় আছে স্বরচিহ্ন, এবং ব্যঞ্জনচিহ্ন তথা ফলা
আর আছে সেগুলির জটিল ব্যবহার
বাংলায়
১১টি স্বরের মোট স্বরচিহ্ন দশটি একটি স্বর তথা ‘অ’-এর কোনও দৃষ্টিগ্রাহ্য চিহ্ন
নেই, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেই অ-এর অলক্ষ্য স্বরচিহ্ন তথা অ-ধ্বনি সকল বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণেই
স্বতঃযুক্ত সে কারণেই বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ সহজে উচ্চারণ করা যায় ইংরেজির মতো
প্রতিটি ব্যঞ্জনের পৃথক নাম দিয়ে বর্ণটিকে নির্দেশ করতে হয় না ফলে বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণগুলির
উচ্চারণ সহজ হলেও বাংলা বর্ণমালা সেমি এ্যালফাবেটিক, আর ইংরেজি বর্ণমালা পূর্ণ
এ্যালফাবেটিক
এসবও
তেমন কোনও ব্যাপার নয়, আসল ব্যাপার হল বাংলা শব্দ লিখতে হলে স্বরচিহ্ন সহযোগী
বর্ণের (১)পরে[কা], (২)আগে[কে], (৩)নিচে[কু], (৪)দুপাশ জুড়ে[কো] বসে ফলে তা হরফকে
ঘিরে এক জটিল সমাবেশ তৈরি করে আবার কিছু স্বরবর্ণ-চিহ্ন হরফকে ঢেকে পিছন ফিরে
থাকে[কী], কোনওটা সামনের দিকে ফেরানো থাকে[কি], আরও বিচিত্রভাবেও থাকে-- কৈ, কৌ
ক=কা, কি কী, কু, কূ, কৃ, কে, কৈ, কো, কৌ
অ
|
আ
|
ই
|
ঈ
|
উ
|
ঊ
|
ঋ
|
এ
|
ঐ
|
ও
|
ঔ
|
া
|
ি
|
ী
|
ু
|
ূ
|
ৃ
|
ে
|
ৈ
|
ো
|
ৌ
|
|
ক
|
কা
|
কি
|
কী
|
কু
|
কূ
|
কৃ
|
কে
|
কৈ
|
কো
|
কৌ
|
স্বরবর্ণ
এবং তার চিহ্ন যদি আরও বেশি থাকত তবে আরও বিচিত্রভাবে তা হরফকে ঘিরে বসানো হত দশটি
চিহ্ন বসানো হচ্ছে মূলত তিনটি দিকে-- সামনে, পিছনে, দুপাশে, নিচে
এজন্য
বাংলা হল কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট আর শুধু কি এজন্য? না তা নয়, বাংলায় আছে ৮টি ফলা তথা
ব্যঞ্জনচিহ্ন[ণ ন ম য রেফ, র-ফলা, ল ব] সাতটি হরফকে[ণ ন ম য র ল ব] বিশেষ রূপ দিয়ে অন্য হরফের সঙ্গে যুক্ত করে
বসানো হয় এগুলিকে বলে ফলা সংযোগ লাঙলের ফলার মতো এদের একটা নির্দিষ্ট রূপ দেওয়া
হয়েছে, সেগুলিকে সহজে বার বার ব্যবহারের সুবিধার জন্য তাই এগুলি ফলা সংযুক্ত
বর্ণ বা যুক্তবর্ণ অবশ্য অন্য নানা ব্যঞ্জনে ব্যঞ্জনে মিলেও হয় বস্তুত সেগুলিকেই
যুক্তবর্ণ বলা হয় দুটি ব্যঞ্জবর্ণ মিলিয়ে এক-একটি নতুন ধরনের রূপ বানিয়ে তা শব্দ
গঠনের কাজে লাগানো হয় এই বর্ণমিলনগুলি প্রায়ই দলাপাকানো মণ্ড ধরণের হয়, ফলে তা
লিখতে শেখা বেশ অধ্যাবসায়ের ব্যাপার শিশুরা এসব যুক্তবর্ণ লিখতে গিয়ে সমস্যায়
পড়ে, বিভ্রান্ত হয় বাংলা পড়া বা লেখা যে
কঠিন, তার মূল কারণই এই বিপুল যুক্তবর্ণের জাল দিয়ে ভাষাকে ঘিরে রাখা, ভাষাকে
স্তিমিত করে রাখা সিংহ অতি বিক্রমশালী জীব কিন্তু তাকে জালে ঘিরে রাখলে তার
বিক্রম কোনও কাজে আসে না চিড়িয়াখানায় বাঘ সিংহ হাতি আমরা কত মজা করে দেখি, বনের
মধ্যে তার দাপটে তটস্থ!
বাংলাভাষাকে
ঘিরে রেখেছে কিছুটা পরিমাণে স্বরচিহ্নের সুতো, আর প্রধানভাবে বন্দী করে রেখেছে
অঢেল যুক্তবর্ণের জাল সে জাল কাটাতে না পারলে বাংলার মুক্তি নেই, বিক্রম
অন্তর্হিত বাংলা তো ভারতের শ্রেষ্ঠ ভাষা, ইউরোপের বাইরে প্রথম নোবেল পুরস্কার পাওয়া
ভাষা, চলচ্চিত্রে অস্কার পাওয়া ভাষা এমনকী বাংলা সাংবাদিকতার জন্য আন্তর্জাতিক
ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পাওয়া
জালে ঘেরা
বাংলাভাষার দুর্গতি দূর করতে হলে উদ্যোগও চাই জোরালো নইলে এই অতি মধুর ভাষাটি
অন্যের অগোচরে থেকে যাচ্ছে মানুষকে যা আনন্দ, সুখতৃপ্তি দিতে পারে তা রয়ে যাচ্ছে
অজানা দেখেছি আমেরিকা থেকে কোলকাতায় লোক এসেছেন বাংলা শিখতে বহুদিন আগে তাঁদের
একদিন স্পোকেন বাংলা বা কথ্যবাংলা বলার ক্লাস নেওয়ার সুযোগ হয়েছে
শুধু
শিশুরা নয়, যুক্তবর্ণ নিয়ে সমস্যা বড়দেরও, যে শিশু সবে এসব শিখেছে তার তো সমস্যা
হবেই প্রশ্ন এই, এরকম যুক্তবর্ণ কয়টি আছে? তার সঠিক উত্তর কোথাও পাওয়া যাবে না তাহলে
“ওঃ, বাংলাটা কী কঠিন!” ধরণের বিস্ময়বাক্য কেন উচ্চারিত হবে না আমরা কি এসব সহজ
সরল করার উদ্যোগ নিয়েছি? এসব এমনি করে জড়ানো প্যাঁচানো কেন? তার সঠিক জবাব নেই সেযুগে
হাতে করে লেখায় এমনি দলা বানানো হরফে লিখতে সুবিধা হত লিখতে কলম কম চালাতে হত, লেখার
জায়গা কম লাগত এগুলি যেন অনেকটা ঠিক রাবার স্ট্যাম্পের মতো, ছাপ মারলেই
লেখা!
যুক্তবর্ণ কেন এমনসব অদ্ভুত আকৃতি নিয়েছে কীভাবে তা
হল তার একটু আভাস পেতে চেষ্টা করা যাক--
বলে রাখা ভালো যে, এই যে বিবর্তন দেখানো হল, তা
সবটাই আনুমানিক
তখনও কাগজ আবিষ্কৃত হয়নি
প্রায়
৫০ বছর ধরে(১৯৬৭-২০১৭) এসব নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে অনেক বিষয় চোখে পড়েছে তার
জবাব খুঁজতে চেষ্টা করেছি মানুষ সেসব পছন্দ করবেন কিনা জানিনা, তবে সেগুলি নিয়ে
কিছু কথা তো বলা যায় বিচার হবে ফল দেখে
বাংলায় বিশুদ্ধ যুক্তবর্ণ হয় দুই বর্ণের(২১১), তিন বর্ণের(১৬৮) এবং চার বর্ণের(১৬) সর্বমোট ২১১+১৬৮+১৬=
৩৯৫(তিনশত পঁচানব্বই) চার বর্ণের বেশি বর্ণ মিলে যুক্তবর্ণ বাংলায় নেই অন্য
ভাষায় অবশ্য আছে তবে বাংলায় চার বর্ণের মিলন কার্যত তিনবর্ণেরই হেরফের এজন্য
বাংলা যুক্তবর্ণ গঠনের দুটি সূত্র(formula) তৈরি করা হয়েছে সেই নির্দিষ্ট
সূত্র ধরে বাংলা সকল যুক্তবর্ণ গঠন করা তো যাবেই, গঠন করা যাবে সমাগত, অনাগত, অপরিমেয়
যুক্তবর্ণ সেজন্য বাংলা ইউনিকোড ফন্ট(কম্পিউটারে লেখার হরফসমূহ) যেটি আমি তৈরি
করেছি তাতে বাংলা সকল যুক্তবর্ণ গঠন করা যাবে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট যা এখন অবধি
তৈরি করা হয়েছে, তা প্রথম প্রজন্ম আমার তৈরি করা ফন্টটি দ্বিতীয় প্রজন্মের সরল,
স্বচ্ছ এবং অগ্রগত (১)সেকেন্ড জেনারেশন ফন্ট, (২)স্মার্ট ফন্ট, (৩)বর্ণসমবায় ফন্ট,
(৪)আলটিমেন্ট ফন্ট, এবং (৫)বাংলা ফন্ট টেকনোলজির ফলিত প্রয়োগ
পূর্ণস্বচ্ছ যুক্তবর্ণে বাংলা লেখার জন্যই এই
ফন্টটি তৈরি করা হয়েছে ফলে বাংলা লেখা এবং বাংলা পড়া অতি সহজ হয়ে গেছে প্রকৃতপক্ষে
হরফ পরিচয় হলেই এখন বাংলা পড়া যাবে, বাংলা লেখা যাবে বিভিন্ন হরফ সংযুক্ত করে দলা
পাকিয়ে মণ্ডহরফ বানিয়ে যে রহস্যের আবরণ বাংলা লেখা এবং পড়ায় রয়েছে তা দূর হয়েছে
বলে বাংলা লিখতে আর কোনও অসুবিধে নেই, পড়তেও কোনও অসুবিধে নেই বিশেষ করে
কম্পিউটারে বাংলা লেখা এখন অনায়াস নেটে সে
ফন্টটি দেওয়া আছে, যেকেউ তা ডাউনলোড করে নিতে পারেন অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
কেমন
হয়েছে সে ফন্ট? বাংলা শিক্ষার্থীদের প্রথমে শিখতে হবে (১)বাংলা বর্ণমালা, (২)১০টি স্বরচিহ্ন,
(৩)আর সবচেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার তা হল-- যুক্তবর্ণের জন্য প্রায় কিছুই আলাদা
করে শেখার দরকার নেই শুধু য-ফলা, র-ফলা, এবং রেফ এই তিনটি রূপের ব্যবহার শিখতে
হবে সেটা শেখা তেমন কঠিন হবে না আর
ওদিকে বাংলা সকল যুক্তবর্ণ সরল হয়েছে যা লেখার জন্য, শেখার জন্য প্রচলিত বাংলা বর্ণমালার
বাইরের অন্য আর কোনও অচেনা নতুন রূপ কিছু শিখতে হবে না
বাংলার
প্রায় চারশত(৩৯৫) যুক্তবর্ণের ভয়াল রূপ রহিত হয়েছে যুক্তবর্ণে সংযোজিত সকল বর্ণই
অক্ষত, অবিকৃত থাকবে যুক্তবর্ণের প্রথম বর্ণটি কেবল আয়তনে ছোটো হবে, অন্য আর কিছু
নয়
কিছু
উদাহরণ দেখা যাক-- শক্ত, যুগ্ম, বাঙ্ময়, উচ্চ,
আচ্ছা, লজ্জা, কুজ্ঝটিকা, সঞ্জয়, পট্ট, আড্ডা, বিষণ্ণ, উত্তম, খদ্দর, অন্ন,
সাব্বাশ, সম্মান, উল্লাস, উষ্ণ(ষ ), আহ্নিক
ফলা বা ব্যঞ্জনচিহ্ন তিনটির উদাহরণ-- পত্র[র-ফলা], তর্ক[রেফ], বাক্য[য-ফলা]
বাংলায়
মণ্ডহরফ হিসেবে শিখতে হবে শুধু-- ক্ষ, জ্ঞ
এই দুটি এদুটিকেও স্বচ্ছ করা যায়, কিন্তু স্বচ্ছ করলে এর বাংলা উচ্চারণ বিকৃত হয়ে
যাবে ক্ষ=ক্ষ, জ্ঞ=জ্ঞ
এই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বাংলা লেখাপড়া অনেক সহজ
হয়ে গেছে প্রথম দিকে এভাবে লেখা দেখলে একটু অস্বস্তিকর মনে হবে, কিন্তু লেখাপড়াটা
একটা অভ্যাসের ব্যাপার আমরা বিকৃত হরফমণ্ড
[ষ্+ণ=ষ্ণ=ষ ] লিখতে, পড়তে, দেখতে অভ্যস্ত বলে
তা-ই আমাদের কাছে শ্রেয় মনে হয় এব্যাপারে একটি প্রাসঙ্গিক সাইট দেখা যেতে
পারে--
বাংলা লেখা ছাপিয়ে গেল ইংরেজিকে :
http://banglamoy.blogspot.in/2014/10/blog-post.html
রবীন্দ্রনাথের
কিছু উক্তি এখানে তুলে ধরা দরকার তিনি প্রণম্য
বাংলা বানান এবং লেখা নিয়ে এত যে মতান্তর তার মূল কারণটি রবীন্দ্রনাথ
স্পষ্ট করেই বলেছেন__ “একবার যেটা অভ্যাস হইয়া যায় সেটাতে
আর নাড়া দিতে ইচ্ছা হয় না কেননা স্বভাবের চেয়ে অভ্যাসের জোর বেশি...অভ্যাসের
সঙ্গে সঙ্গে একটা অহংকারের যোগ আছে যেটা বরাবর করিয়া আসিয়াছি সেটার যে অন্যথা
হইতে পারে এমন কথা শুনিলে রাগ হয় মতের অনৈক্যে রাগারাগি হইবার প্রধান কারণই এই
অহংকার... যাঁরা ইংরাজি শিখিয়া মানুষ হইয়াছেন, তাঁরা বাংলা শিখিয়া মানুষ হইবার প্রস্তাব
শুনিলেই যে উদ্ধত হইয়া ওঠেন, মূলে তার অহংকার”
... বঙ্গ ভাষা রাজভাষা নহে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা নহে, সম্মানলাভের ভাষা নহে, অর্থোপার্জনের
ভাষা নহে, কেবলমাত্র মাতৃভাষা যাঁদের হৃদয়ে ইহার
প্রতি একান্ত অনুরাগ ও অটল ভরসা আছে তাঁহাদেরই ভাষা
আমার বেশ মনে আছে অনেকদিন পূর্বে একজন বিশেষ বুদ্ধিমান শিক্ষিত ব্যক্তি
আমাকে বলিয়াছিলেন,
‘বাংলা সাহিত্য যতই
উন্নতিলাভ করিতেছে ততোই তাহা আমাদের জাতীয় মিলনের পক্ষে অন্তরায় হইয়া উঠিতেছে
কারণ এ সাহিত্য যদি শ্রেষ্ঠতা লাভ করে তবে ইহা মরিতে চাহিবে না__ এবং ইহাকে অবলম্বন করিয়া শেষ পর্যন্ত বাংলাভাষা
মাটি কামড়াইয়া পড়িয়া থাকিবে এমন অবস্থায় ভারতবর্ষে ভাষার ঐক্যসাধনেরপক্ষে
সর্বাপেক্ষা বাধা দিবে বাংলা ভাষা অতএব বাংলা সাহিত্যের উন্নতি ভারতবর্ষের পক্ষে
মঙ্গলকর নহে’
আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, আমরা যেমন মাতৃক্রোড়ে জন্মেছি তেমনি মাতৃভাষার
ক্রোড়ে আমাদের জন্ম, এই উভয় জননীই
আমাদের পক্ষে সজীব ও অপরিহার্য
বাংলা
লেখাপড়াকে আর কোনও প্রকার অবগুণ্ঠনের আড়ালে রাখা হবে না স্পষ্ট, এবং সরাসরি লেখা
হবে ইংরেজি এত কদর তার সরল হরফের জন্য বাংলায় সেই সারল্য যতটা আনা যায় ততোই
ভালো সে প্রয়াস মাতৃভাষার জন্য তো করতেই হবে
আগে
দরকার সংস্কারমুক্ত হওয়া, তার পরে আর কোনও সমস্যা নেই সমস্যা থাকবে না
--
০০ --
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন